পঞ্চায়েত প্রধানকে রাস্তায় টেনে এনে প্রতিশ্রুতি আদায় করলো বিজেপি

18th August 2020 10:54 am হুগলী
পঞ্চায়েত প্রধানকে রাস্তায় টেনে এনে প্রতিশ্রুতি আদায় করলো বিজেপি


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : পঞ্চায়েত থেকে রাস্তায় টেনে এনে প্রধানকে প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য করল বিজেপি বলে অভিযোগ প্রধানের । ১০০ দিনের কাজের মজুরি কম দেওয়ার অভিযোগে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। হুগলীর পান্ডুয়ার ইলছোবা দাসপুর  পঞ্চায়েতের বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি ১০০ দিনের কাজের মজুরি কম দেওয়া হচ্ছে। ২০২ টাকা মজুরির দিতে হবে বলে দাবী । কোথাও ১৬০ টাকা কোথাও বা ১৭০ টাকা মজুরি প্রদান করা হচ্ছে   অভিযোগ ।  এছাড়া বেশকিছু পরিযায়ী শ্রমিকদের জব কার্ড দেওয়া হচ্ছে না । যে সমস্ত পরিবারের জব কার্ড নেই তাদের জব কার্ড দিতে হবে , আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত  পরিবারগুলির নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে বলেও আন্দোলনকারীদের দাবী ।  ক্ষতিপূরণ না পাওয়া ব‍্যক্তি সহ  পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেড়িয়ে  রাস্তায়  সর্ব সমক্ষে প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হন প্রধান।ঝামেলা ভাঙচুর এড়াতে বিজেপির কথা শুনেছি বলেন পঞ্চায়েত প্রধান। বারবার ভীড় না করার কথা জানালেও কেউ আমলই দেন নি । করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে চলার কথা বললেও কেউ শোনেন নি সে বিষয়ে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান ।  যে সমস্ত দাবী তুলেছে বিজেপি ব্লক উন্নয়ণ আধিকারিক এর সাথে আলোচনা করে তা সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন পঞ্চায়েত প্রধান ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।